Funniest Bangla

  1. রামকৃষ্ণ দেবের কৌতুক ----ছাগল পোষা   

কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় তখন ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্টা করেছেন ।ওই  সংঘে অনেক পুরুষ  সদস্য  পাশা পাশি  কিছূ  মহিলা  সদস্যা ছিলেন ।এদের নিয়ে সংঘের কাজ কর্ম চলছিল ।একদিন শ্রীরামকৃষ্ণদেব নিমন্ত্রিত হয়ে এলেন ব্রাহ্ম সমাজের সেই সভায় ।রামকৃষ্ণকে দেখে খুশি হয়ে কেশব চন্দ্র বললেন ,"আসুন ঠাকুর আসুন "!
শ্রীরামকৃষ্ণদেব সভায় এসে লক্ষ্য করলেন ব্রাহ্ম সমাজের পুরুষ  সদস্য দের পাশিপাশি কয়েকজন মহিলা  সদস্যাকেও ।
শ্রীরামকৃষ্ণদেব রসিকতা করে কেশব চন্দ্র বললেন ,"সবে তো গাছ পুঁতেছেন !এর মধ্যে ছাগল পোষা ?সব যে মুড়ে খাবে !"কেশব চন্দ্র শ্রীরামকৃষ্ণর রসিকতার অর্থ বুঝে হেসে ফেললেন ।




২.রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুরের কৌতুক----- বা দোর্


শান্তিনিকেতনে  অসুস্থ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে তার পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী এসেছিলেন ।রবীন্দ্রনাথ বিছানায় শুয়ে ছিলেন ।সময়টা ছিল দুপুরবেলা ।নানা কথাবার্তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ হঠাৎ প্রতিমা দেবী কে বললেন ,"বৌমা ,বাঁদরটা  বড্ড জ্বালাচ্ছে ,ওটা বন্ধ করে দাও তো!"চারদিকে তাকিয়ে দেখলেন প্রতিমা দেবী ।চার দিকে তাকিয়ে দেখলেন প্রতিমা দেবী ।কই বাঁদর তো চোখে পড়লো না ।আর বাঁদর কে কীভাবেই বা বন্ধ করবেন ।তিনি ভাবতে লাগলেন ।রবীন্দ্রনাথ আবার বললেন ,"কী হলো বৌমা ?দেখছো না ,বাঁদরটা বড্ড জ্বালাচ্ছে!"প্রতিমা দেবী এবার বললেন,"কই ,বাঁদর তো আমার চোখে পড়ছে না!"
রবীন্দ্রনাথ এবার হেসে বললেন ,"বাঁদর- মানে বাঁ -দোর টা বন্ধ করতে বলেছি ,দ্যাখো না রোদ বড্ড মুখে লাগছে যে ।"
এ কথা শুনে প্রতিমা দেবী হেসে ফেললেন এবং বামদিকের দোর টা বন্ধ করে দিলেন ।



৩.রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুরের কৌতুক-----নিৰামিষ কি আমিষ


শান্তিনিকেতনে একটা ছোট ছেলে রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখে জানতে চায় -"ডিম কে আমিষ কেন বলা হয় ?নিরামিষ বললে কি ক্ষতি ?"
রবীন্দ্রনাথ উত্তরে মজা করে লিখলেন ,"ঠিকই তো ,কই ডিমের গায়ে আঁশ দেখেছি বলে তো মনে হয় না ।কেমন সুন্দর
গোলগোল -খাসা আলুর মত ।"
রসিক রবীন্দ্রনাথের উত্তর পেয়ে ছোট ছেলেটা খুব আনন্দ পায় ।

৪.রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুরের কৌতুক----সানাই


এক ভদ্রলোক প্ৰথমবার শান্তিনিকেতনে এসেছেন ।তিনি দেখা করতে গেলেন রবীন্দ্রনাথের সাথে ।গুরুদেবের কাছে যাবার আগে ভদ্রলোকটিকে শান্তিনিকেতনের একজন মজা করে বললেন ,"জেনে রাখুন গুরুদেব আজকাল কানে কম শুনছেন ।আপনি কথা বলার সময় গুরুদেবের কানের কাছে মুখ নিয়ে জোরে কথা বলবেন ।না হলে গুরুদেব কিছুই শুনতে পাবেন না !"
রবীন্দ্রনাথ তখন একটা বই পড়ছিলেন ।ভদ্রলোকটিকে দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন,"আপনার নাম কি "
ভদ্রলোকটি রবীন্দ্রনাথের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে চিৎকার করে বললেন ,"আমার নাম কানাই ।"
           এত জোরে চিৎকার করে ভদ্রলোকটিকে কথা বলতে শুনে রবীন্দ্রনাথ অবাক হলেন।তিনি  রসিকতা করে
বললেন ,"নামটা সানাই হলে আরো ভালো হতো ।"
এ কথা শুনে ভদ্রলোকটি লজ্জা পেয়ে গেলেন ।






Comments

Popular posts from this blog

চুনের কত গুন

কেমন হয় s অক্ষর দিয়ে নামের ব্যাক্তির চরিত্র ,ভাগ্য ,স্বভাব ,প্রেম

বাংলার মনীষী দের হাস্য কৌতুক