স্বাধীনতা দিবসে দেশের freedom fighter দের হাস্য কৌতুক ও রসিকতা নিয়ে কিছু ছোট ছোট গল্প
নেতাজীর কৌতুক --ন্যাপকিনের ব্যবহার :
সুভাষচন্দ্র একবার হোটেল এ গেছেন খেতে ।খাবার খাবার পর দাম দেবার সময়ে হোটেলের বয় বিল দিয়ে গেলো সুভাষচন্দ্র কে বিল দেখে সুভাষচন্দ্রের চক্ষু চড়কগাছ !তিনি দেখলেন বিলে খাবারের সঙ্গে ন্যাপকিনের দাম ও ধরা আছে ।তিনি হোটেলের বয় কে ডেকে বললেন ,আমি ইউরোপের অনেক হোটেল এ খেয়েছি ,কোথাও তো ন্যাপকিনের বিল করে না ।তাছাড়া আমি তো ব্যাবহার ও করিনি ।কেন দাম দেব ?'
সুভাষচন্দ্রের কথা শুনে বয় টি বলল ,'স্যার ,আমাদের হোটেল এর এটাই রীতি ।ন্যাপকিনের দাম দিতে হবে ।'
বয়ের কথা শুনে সুভাষচন্দ্র বললেন ,বটে !তা এটার দাম ই যদি দিতে হয় তাহলে এটার ব্যাবহর ও হোক !'
বলা মাত্র সুভাষচন্দ্র টেবলে পা তুলে ন্যাপকিন দিয়ে নিজের জুতো জোড়া মুছে নিলেন !
হোটেলের মালিক আর বয় একেবারে থ ।
প্রমথ নাথ বিশীর কৌতুক ---পোকার উৎপাত :
শান্তিনিকেতনে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ নিজেই পড়াতেন ছাত্রদের ।একদিন ইংরাজী ক্লাসে তিনি বিখ্যাত ইংরেজ কবি শেলীর কবিতা পড়াচ্ছিলেন ।শান্তিনিকেতনে গুরুদেব গাছের তলায় মাঝখানে বসেছিলেন ,তার চারপাশে বসেছিল ছাত্ররা ।সেই সময়ে হঠাৎ কিছু পোকার উপদ্রব শুরু হয় ।রবীন্দ্রনাথের পরনের পোশাক ছিল সারা শরীর ঢাকা যার নাম হল জোব্বা ।তার গায়ে পোকা কামড়াতে পারছে না ।কিন্তু ছাত্রদের গায়ে পোকা কামড়াতে লাগলো ।তারা পোকার জ্বালায় অস্থির ।পড়ায় মন লাগছে না 'শুধু তারা হাত পা চুলকাতে লাগলো।রবীন্দ্রনাথ কিছু বুঝতে না পেরে জানতে চাইলেন ,কী হল ?আজ তোমরা এতো অস্থির কেন?
ছাত্রদের মধ্যে প্রমথ নাথ বিশী উঠে বললেন ,গুরুদেব ,যদি অভয় দেন তো বলি ,
রবীন্দ্রনাথ বললেন 'হ্যাঁ বলো ।'
প্রমথ নাথ বললেন,'গুরুদেব আপনি শেলীর কবিতা পড়াচ্ছেন ,কিন্তু এদিকে কিটস আমাদের বড়ই বিরক্ত করছেন ।
রবীন্দ্রনাথ সব শুনে হেসে ফেললেন ।
ছাত্রদের মধ্যে প্রমথ নাথ বিশী উঠে বললেন ,গুরুদেব ,যদি অভয় দেন তো বলি ,
রবীন্দ্রনাথ বললেন 'হ্যাঁ বলো ।'
প্রমথ নাথ বললেন,'গুরুদেব আপনি শেলীর কবিতা পড়াচ্ছেন ,কিন্তু এদিকে কিটস আমাদের বড়ই বিরক্ত করছেন ।
রবীন্দ্রনাথ সব শুনে হেসে ফেললেন ।
দাদা ঠাকুর শরৎ চন্দ্র পন্ডিতের বিখ্যাত ছড়া ----
বেটা বেচা
জাত বুঝি যায় নাকো কূভোজ্য ভোজনে ।
পুড়াইছ পোড়া পেট বেটা বেচে ওজনে
ছেলের বিবাহ দিয়ে নিয়ে যাবে কন্যায়
তার সনে টাকা চাও এটা তবে কোন ন্যায় !
গহনা করিছ দাবী নগদ চাহিয়া ঢের ।
বেচিলে বেটার মাংস কত টাকা প্রতি সের ?
হওনা বামুন তুমি কায়েত কি বৈদ্য ।
অধম কসাই তুমি মশাই যে সদ্য ।
বম্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর রসিকতা ---ঘোমটা
![]() |
Add caption |
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্রের দুই বিবাহ ছিল ।আর তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন খুব সুন্দরী । একদিন তার স্ত্রী কে নিয়ে ট্রেনে চলছিলেন । তখন কার দিনে বিবাহিত স্ত্রীরা ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢেকে ঢেকে রাখতেন | মুখ ঢেকে রাখতেন | বঙ্কিমচন্দ্র ট্রেনে স্ত্রীর পাশে বসে newspaper পড়ছিলেন । ।কিছুক্ষন পর তিনি লক্ষ্য করলেন এক যুবক তাঁর স্ত্রীর ঘোমটা ঢাকা মুখের দিকে তাকাচ্ছে । ব্যাপার দেখে বঙ্কিমচন্দ্র মনে
হাসলেন কিছু ন বলে ।খানিক পরে আলাপ জমাতে শুরু
যুবকটির সাথে ।জিজ্ঞাসা করলেন,' কি করা হয় ?'হঠাৎ এরকম প্রশ্ন শুনে কিঞ্চিৎ বিচলিত হয়ে যুবকটি উত্তর দিলো ,
'আজ্ঞে একটা কেরানির চাকুরী করি ।বঙ্কিমচন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন,'তা মাইনে কত পাও ?'যুবকটি কুন্ঠিত হয়ে জবাব দিলো ,'বেশি নয় ,মাত্র বত্রিশ টাকা ।'তখন বঙ্কিমচন্দ্র বললেন ,'আমি লক্ষ করেছি ,তুমি এই মহিলার দিকে বারবার
আড়চোখে তাকাচ্ছ ।আমি এর ঘোমটা খুলে দিচ্ছি ।বরং ভালো করে দেখেই নাও ।আর একটা কথা ভালো করে শুনে রাখো -আমি একজন ডেপুটিম্যাজিস্ট্রেট ও সাহিত্যক ।নাম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।আটশ টাকা মাইনে পাই ।বই পত্র
লিখেও ভালো আয় হয় ।তা কমপক্ষে মাসে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার ।পুরো টাকাটাই আমি সমর্পন করেছি এই মহিলাকে ।কিন্তু দুঃখের কথা তাও মন পাইনি ।আর তুমি বত্রিশ টাকার কেরানি হয়ে এর মন পেতে চাও !বাঃ !কামরা ভর্তি লোকের সামনে এই কথা শুনে যুবকটি লজ্জায় রাঙা হয়ে গেলো ।পরের স্টেশনে সে চলে গেলো অন্য কামরায় ।
বঙ্কিমচন্দ্র এবার নিশ্চিন্ত মনে সংবাদ পত্র পড়তে লাগলেন
Comments
Post a Comment