কি করতে হয় কি করতে হয় না ধনতেরাস ও দীপাবলীতে

মা লক্ষীর দাঁড়িয়ে থাকা ফটো কখনো ঘরে রাখতে নেই ।মা যেন বিরাজমান হন পদ্ম ফুলের উপর ।এই রকম ফটোর প্রতিষ্টা করতে হয় ।যখন কেউ আমাদের ঘরে আসে
আমরা তাকে বসতে দি ,আর চলে যাবার সময় হাত জোর করে বিদায় দি ।বিরাজমান মা থাকলে তার মানে হয় তাকে আমরা সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে আমাদের ঘরে প্রতিষ্ঠা
করি চিরকালের জন্য ।মা কে কখনো হাত জোর করে প্রণাম করতে নেই ,কারণ হাত জোর করা মানে বিদায় জানানো ।হাত খুলে তার সামনে প্রার্থনা করতে হয় ।হে মা
তুমি কখনো আমাদের ছেড়ে যেও না ।মা লক্ষী কে কখনো তুলসী পাতা পূজাতে দিতে
নেই ।তুলসী সম্পর্কে মা এর সতীন হন ।তাই হিতে বিপরীত হতে পারে ।

ধনতেরাসের দিন আয়ুর্বেদের দেবতা  ধন্বন্তরীর জন্ম ।আজকের দিনে ১৩ তা প্রদীপ জ্বালানোর রেওয়াজ আছে ।মানা হয় ধনতেরাসের দিন প্রদীপের মধ্যে একটা লঙ রেখে এই দেবতার উদ্দেশে অর্পণ করলে সারা বছর নীরোগ থাকার আশীর্বাদ পাওয়া যায় ।ধনতেরাসের দিন সরষের তেলের প্রদীপে একটা গোটা লং রেখে ভগবান বজরংবলীর সামনে রাখলে যত নেগেটিভ এনার্জি আছে সব দূর হবে ।ওষুধ সব ঘরে কাজে লাগে ।মান্যতা আছে ধনতেরাসের 

দিন কেনা ওষুধের কাজ অনেক গুন্ বেড়ে যায় ।

ধনতেরাসের দিনে লং এর একটা ছোট উপায় ধন সম্পদকে করতে পারে চিরস্থায়ী ।৫তা গোটা লং একটা লাল কাপড়ে বেঁধে মা লক্ষীর সামনে রেখে 

পুজো করে পুটুলিতে রেখে দিতে হয় আলমারিতে ।এটা করতে হয় গোপনে ।

যা করতে নেই ধনতেরাস ও দীপাবলিতে 

দীপাবলিতে উপহার দেবার রেওয়াজ আছে কিন্তু কিছু জিনিস আছে যা অন্যকে এই দিনে উপহার হিসাবে দিতে নেই ।এই দিন কালো বস্তু কিনতে নেই বা কাউকে উপহার দিতে নেই ।কাউকে ধানতেরাস বা দীপাবলিতে কেনা জিনিস উপহারে দিতে নেই ।অন্তত ১ দিন আগে হলেও কিনতে হয় ।দীপাবলির দিন কখনো জুতো চপ্পল বাড়ির মুখ্য দরজার 

সামনে রাখতে নেই ।এটা প্রচন্ড অশুভ ।পুরানো ঝাঁটা ফেলে দিতে হয় ।